উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর অতি বৃষ্টিতে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় সিরাজগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে ১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সোমবার (৩০ আগস্ট) সকাল ৬টায় এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টের দায়িত্বে থাকা গেজ মিটার (পানি পরিমাপক) আব্দুল লতিফ।
তিনি জানান, রোববার (২৯ আগস্ট) সকাল ৬টা থেকে সোমবার (৩০ আগস্ট) সকাল ৬টা পর্যন্ত শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি ১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী আরও কয়েকদিন পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে।
পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল। এতে জেলার ৫টি উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নের প্রায় ১ লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট। তলিয়ে গেছে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠ, রাস্তাঘাট, বিস্তীর্ণ রোপা আমনের ক্ষেত। ভাঙনে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন চৌহালী ও শাহজাদপুরের নদী পারের মানুষ। তবে বালু-ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধে চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানায় পানি উন্নয়ন বোর্ড।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম আরটিভি নিউজকে জানান, বন্যা কবলিত ৫টি উপজেলায় ১২৫ টন চাল ও দেড় লাখ টাকা করে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তারা সেটা তাদের চাহিদা অনুযায়ী বিতরণ করবেন। এ ছাড়াও জেলায় ৫১ টন চাল ও দুই লাখ টাকা বন্যার্তদের জন্য মজুত রাখা হয়েছে।